পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : মশার উপদ্রবে নাজেহাল কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরবাসী। কিন্তু মশা নিধন ও এর প্রজনন ধ্বংসে পৌর কর্তৃপক্ষের কোন মাথা ব্যাথা নেই বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এতে পৌরসভাসহ উপজেলায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, পাকুন্দিয়া পৌরশহর থেকে শুরু করে উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামেও মশাবাহিত নানা রোগের পাশাপাশি ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন জ্বরে আক্রান্ত বহু রোগীর ভিড় লেগেই থাকছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। সেখানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। গত আগস্ট মাস থেকে ০৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ৪৩ জন ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এ হাসপাতালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাকুন্দিয়া পৌর শহর ও নয়টি ওয়ার্ডের বিভিন্ন জলাশয় ও ড্রেন ময়লা-আবর্জনায় ভরে গেছে। এগুলো পরিষ্কার করা হয় না। অনেক ড্রেনের ঢাকনা নেই। এসব ড্রেনকে মশা উৎপাদনের বড় ধরনের উৎস স্থল মনে করে পৌরবাসী। ফলে দিন দিন মশার জন্ম ও উপদ্রব -দুটিই বাড়ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় বাজেট থাকা সত্ত্বেও পৌর এলাকায় অভিযান শুরু করার কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। পাকুন্দিয়া পৌরসদর বাজার, পুলের ঘাট, লক্ষীয়া, শ্রীরামদী, শিমুলিয়া, হাপানিয়া, দিয়াপাড়া, বড়বাড়ি, মঙ্গলবাড়ীয়া, উত্তরপাড়া, নিশ্চিন্তপুরসহ পৌরসভার প্রায় সবকটি পৌর এলাকায়ই মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আবু হানিফ বলেন, মশার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। কয়েল জ্বালিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছি না। সন্ধ্যার পর মশার যন্ত্রণায় শিক্ষার্থীরা পড়াশোনাও ঠিকমতো করতে পারছে না।
পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাদ্রাসা শিক্ষার্থী আবু সাইফ বলেন, মশার যন্ত্রণায় ঠিকমতো পড়াশোনা করতে পারছি না। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে রাতে মশারি টাঙিয়ে পড়াশোনা করতে হয়।
এ বিষয়ে পাকুন্দিয়া পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ শফিকুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় পুরোপুরিভাবে মশা নিধনের ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তারপরেও পৌরসভার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় মশা নিধন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।