পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি : কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় পুলিশের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ নুরুজ্জামান বাবুকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ।
গত রবিবার পাকুন্দিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ সুজায়েত হোসেন বাদি হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় মামলাটি করেন। এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়নের বাহাদিয়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত নুরুজ্জামান বাবু উপজেলার এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার কামারকোনা গ্রামের মৃত মনিরুজ্জামানের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে পাকুন্দিয়া থানার এসআই মোঃ সুজায়েত হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করতে উপজেলার বাহাদিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। পরে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসার সময় খবর পেয়ে তার সমর্থকরা ছুটে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে পুলিশের হাত থেকে চেয়ারম্যানকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায় তারা। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোঃ শাখাওয়াৎ হোসেনসহ একদল পুলিশ গিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি নুরুজ্জামান বাবুসহ জড়িতদের ধরতে অভিযান চালায়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাখাওয়াৎ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এগারসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বাবু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ঘটনার সময় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে যায়। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় ফেরার সময় তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এসময় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।