ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : সরকার পরিবর্তনের পর ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা ২নং চাড়োল ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামে ওয়ারীতে সাফ কবলা বিক্রি করে আবার সেটি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও তার পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। এতে করে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছে ওই গ্রামের সমীর উদ্দিন নামে এক কৃষক।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ২৮ বছর আগে ইউপি সদস্য হারুনুর-অর-রশিদ এর ভাইয়ের কাছে ও তার পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে ওই জমি তিন নামে কবলা দলিল মূল্যে ক্রয় করেন সমীর উদ্দিন। ২৮ বছর ভোগ দখলে থাকার পর গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ৬টায় বিবাদীরা সঙ্গবদ্ধ একটি দল ১৫-১৬ জন লোক লাঠিসোটা, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জমি দখল করে আম গাছ রোপণ করে। সমীর উদ্দিনের পরিবারসহ বাধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য হারুনের লোকজন ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষের হাতাহাতি হলে সমীর উদ্দিনের গায়ে আঘাত লাগে। পরে উপায় না পেয়ে জমি ফেরত পেতে থানায় অভিযোগ করেন।
সমীর উদ্দিনে অভিযোগ করে বলেন, ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদের ভাই ও তার পরিবারের লোকজন আমার জমি জোরপূর্বক দখল করেছে। তফসিল বর্ণিত জমি ঠাকুরগাঁও জেলা, বালিয়াডাঙ্গী থানা, ২নং চাড়োল ইউনিয়ন, মৌজা -মধুপুর, জেএল নং-২৭, খতিয়ান নং ৭১, দাগ নং ২৫৪৪-২২ শতাংশ ও ২৫৪৩, দুই শতাংশ বিবাদীরা মোট ২৪ শতাংশ জমিতে আমগাছ রোপণ করে জবরদখলের অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
যারা দখল করেছেন তারা হলেন- জয়নুল হক, হায়দার আলী, রমজান আলী, রেজাউল করিম, ফজলে আলম, ফজলুল করিম, সবুজ আলী, বজলুর রহমান ও ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ নিজেই তার নেতৃত্বে এই জমি দখল করেছে।
জমি দখলের বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুন-অর-রশিদ এর পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করা হলে কাউকে না পেয়ে মুঠোফোনে হারুন-অর-রশিদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের শনিবার থানায় বসার কথা আছে। উভয়পক্ষের কাগজ নিয়ে সেদিন বসা হবে। ওয়ারিশ সূত্রে যদি আমরা জমি না পাই তাহলে ছেড়ে দেব, তবে সেটা কাগজ দেখার পর। এই বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।
বালিয়াডাঙ্গী থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন, দুই পক্ষে উনারা বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমিও তদন্তে গিয়েছিলাম। দুই পক্ষ বসে সিদ্ধান্ত নেবে। উভয়পক্ষের কাগজ দেখার মাধ্যমে আপস হওয়া ভালো।
