জামালপুরে আধুনিক ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষ বাড়ছে

জামালপুর প্রতিনিধি : গ্রামীণ অর্থনীতি ও দেশের বেকার যুবকদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় সরকার জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে আধুনিক ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রকল্প। এ প্রকল্প জেলার ৭টি উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ায় অসংখ্য বেকার যুবকের কর্মসংস্থান হয়েছে পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা হলেও মাছ উৎপাদনে বেশ এগিয়ে রয়েছে। মৎস্য বিভাগ মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় বেকার যুবকদের ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদনে প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের আওতায় নান্দিনা, নরুন্দি, পিয়ারপুর, ঘোড়াধাপ, গোপালপুরসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার বেকার যুবকরা মাটি কেটে ইট দিয়ে ট্যাংক বানিয়ে তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন জাতের মাছ চাষ করছে।
সরেজমিনে এ এলাকা ঘুরে বেশ কয়েকজন মৎস্যচাষীর সাথে কথা হয়।
এর মধ্যে গোপালপুর এলাকার সেলিম জানান, ট্যাংক পদ্ধতিতে তেলাপিয়া মাছ চাষ করে লক্ষাধিক টাকা আয় হয়েছে। এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষ প্রকল্প মৎস্য বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রায় সর্বত্রই ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষ হচ্ছে। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, মেষ্টা, বালিজুড়ি, পাথরশী, ডাংধরা, পাররামপুর এলাকা ঘুরে জানা যায়, এসব এলাকার প্রায় ৩ শতাধিক বেকার যুবক ট্যাংক পদ্ধতিতে তেলাপিয়াসহ নানা জাতের মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছে।
ভাটারা গ্রামের আসাদ মেষ্টা এলাকার সাদেক জানান, ট্যাংক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে প্রতিমাসে অর্ধ লক্ষাধিক টাকা আয় হচ্ছে। এসব উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন, বেকার জনগোষ্ঠীকে আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করে মৎস্য বিভাগের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে অধিকাংশ বেকার যুবকের আত্মকর্মসংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা জোরালো গতিতে ঘুরছে।