বাগেরহাট সংবাদদাতা : বাগেরহাটের রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১০ম চালানের কয়লা নিয়ে মোংলা বন্দরে নঙ্গর করেছে এমভি বসুন্ধরা মেজিট্টি নামের দেশীয় বাণিজ্যিক জাহাজ। গত শুক্রবার বন্দরে নোঙ্গর করে জাহাজটি। এবারের চালানে ৩১ হাজার ৭শ মেট্রিক টন জালানী কয়লা নিয়ে বন্দরের হারবাড়িয়ার ১৩ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় কয়লা খালাস শুরু করে।
স্থানীয় মেসার্স টগি শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, শুক্রবার মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় নোঙ্গর করে বাংলাদেশী পতাকাবাহী এমভি বসুন্ধরা মেজিট্টি নামের বাণিজ্যিক জাহাজ। বন্দরের হারবাড়িয়ার ১৩ নম্বর এ্যাঙ্কারেজ বয়ায় আসার পর কয়লা খালাস কাজ শুরু করে পণ্য খালাস ও শ্রমিক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এ হাসেম এন্ড সন্স কোম্পানীর প্রতিনিধিরা।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার মোয়ারা পানথাই নামক বন্দর থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা বোঝাই করে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। ২৫ সেপ্টেম্বর রাতে প্রথমে চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করে ১৯ হাজার ৩০০ মেঃ টন কয়লা খালাস করা হয়। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মোংলা বন্দরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। জাহাজটির ইন্দোনেশিয়া থেকে মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে ২০ দিন সময় লেগেছে বলেও জানায় শিপিং এজেন্ট কর্তৃপক্ষ।
হারবাড়িয়া ১৩ নম্বর বয়ায় গত শুক্রবার দুপুরের পালা থেকে শুরু হওয়া কয়লা খালাসের কাজ বিরতিহীনভাবে চলছে। জাহাজটি থেকে সম্পূর্ণ কয়লা খালাস করতে ৬-৭ দিন সময় লাগবে বলেও জানায় তারা। খালাসকৃত কয়লা প্রথমে কার্গো জাহাজ ও লাইটার বোঝাই করে পশুর চ্যানেল দিয়ে নেয়া হবে রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটিতে। রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়লার সংকটে বন্ধের পরে কয়লা নিয়ে আসা এটি ১০ম চালানের জাহাজ।
মেসার্স টগি শিপিং অ্যান্ড লজিস্টিক লিঃ এর সহকারী অপারেশন কর্মকর্তা মোঃ হোসেন ইমান বলেন, রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এখন আর কয়লা সংকট নেই। আমাদের কোম্পানী একের পর এক জাহাজ মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দরে কয়লা খালাস করে তা রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষসহ সকল সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান আমাদের ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আমদানী-রপ্তানীকৃত পণ্য আসার সাথে সাথে দ্রুত খালাস-বোঝাইয়ের সহায়তা করে থাকে বলেও জানান তিনি।
