রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অর্ধেক ডেঙ্গু রোগীই স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ডেঙ্গুর ঝুঁকি দিনের পর দিন বাড়ছেই। রামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় শয্যা সংকটে পড়ারও শঙ্কা রয়েছে। হাসপাতালের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডটিকে ডেঙ্গু ওয়ার্ড ঘোষণা করা হলেও রোগীর সংখ্যা বাড়ায় ১০নং ওয়ার্ডে থেকেও রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলো ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ১০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে সেখানে ২৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে ১৩ জন স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। বাকিরা ঢাকায় গিয়ে আক্রান্ত হন। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৩ জন ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এদের মধ্যে ৭৬ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। আর মারা গেছেন একজন। হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি আছেন একজন।
রামেক হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ড ইনচার্জ ও মেডিসিন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ডা. তানজিজুল বারি বলেন, শুরুর দিকে ঢাকায় গিয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও এখন স্থানীয় পর্যায়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বর্তমানে যেসব রোগী আছে তার অর্ধেকই রাজশাহীতে আক্রান্ত হয়েছে। যারা ভর্তি আছেন তারা পুরোপুরি আশঙ্কা মুক্ত নন। তবে প্রায় সবার অবস্থা স্তিতিশীল। ডেঙ্গু রোগীদের প্রাথমিক পরীক্ষা হাসপাতালেই বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। রক্তের যে পরীক্ষা সেটিও অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রাত ১০টা পর্যন্ত দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, রাজশাহীতে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। গত মঙ্গলবার মহানগরীর ভদ্রা এলাকায় সড়কের ফুটপাতে ভাঙ্গারি জিনিসপত্র রাখায় একজনকে আটক করা হয়। আর মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় একটি পেট্রোল পাম্পে পরিত্যাক্ত টায়ারে জমে থাকা পানিতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন আবাসিক ও নির্মাণাধীন ভবনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জমে থাকা পানি পরীক্ষা করে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেলে তাদের জরিমানাসহ সতর্ক করা হচ্ছে।
