যশোরে প্রশাসনের নজরদারিতে মাংসের দাম কমছে

যশোর প্রতিনিধি
১ সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরে মাংসের দাম কমতে শুরু করেছে এরমধ্যে কেজি প্রতি সব ধরনের মাংসের দাম কমেছে ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা।
সবজিসহ অনেক পণ্যের দাম এখনো ক্রেতাদের নাগালের বাইরে। প্রশাসন আরও কঠোর হলে সবজিসহ সব কিছুর দাম কমে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন ক্রেতারা। রমজানকে সামনে রেখে হু হু করে বাড়তে থাকে মাংসের দাম। ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় মাংস। ১ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রশাসনের কঠোরহস্তক্ষেপে মাংসের দাম ঠিকই কমতে শুরু করেছে। অভিযান অব্যাহত রেখে যশোর শহরের বড়বাজারে বেশি দামে মুরগি বিক্রির অপরাধে দুই ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পেশকার সাইদুর রহমান জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নাছির ও নুশরাত ইয়াসমিন পরিচালিত পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত বড়বাজাওে অভিযান চালান। এসময় ২১০টাকা কেজি দরের ব্রয়লার মুরগি ২২০ টাকা কেজিতে বিক্রির অপরাধে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত একজন ব্যবসায়ীকে ২ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। একই সময় একই অপরাধে আরেকজন ব্যবসায়ীকে ৩ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নুশরাত ইয়াসমিন।
বাজার ঘুরে জানা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগী বিক্রি হয় ২০০ টাকা থেকে
২১০ টাকা। ৩১০ টাকা বিক্রি হয় সোনালী। প্রতি কেজি লেয়ার ও কক মুরগী বিক্রি হয় ৩৩০ টাকা। ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় দেশি মুরগী। গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭০০ টাকা। ১১০০ টাকা থেকে সাড়ে ১১০০ টাকা কেজি ছাগলের মাংসের দাম। কয়েকদিন ধরে মাংসের দামে অস্থিরতা শুরু হয়। ইচ্ছামত দাম বাড়াতে থাকে বিক্রেতারা। এর লাগাম টানতে শুরু করেছে প্রশাসন।
বাজারে ভোজ্য তেলের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি সয়াবিন তেল বিক্রি হয় ১৮৫ টাকা কেজি। ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় সুপার পাম তেল। পাম তেল বিক্রি হয় ১৪০ টাকা কেজি। ইফতার উপকরণের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি ছোলার বেসন বিক্রি হয় ১০০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের বেসন। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হয় ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা। চিড়া প্রকার ভেদে ৬০ টাকা থেকে ৮০ টাকা কেজি। বাজারে মাছের সরবরাহ প্রচুর। তারপরও দাম অনেক বেশি প্রতি কেজি রুই-কাতলা মাছ বিক্রি হয় ২২০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা। ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি হয় মৃগেল মাছ। ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হয় চাষের শিং মাছ। প্রতি কেজি টাকি মাছ বিক্রি হয় ৩৫০ টাকা। ১৩০ টাকা থেকে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় তেলাপিয়া। প্রতি কেজি মাঝারি সাইজের ইলিশ মাছ বিক্রি হয় ৪৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা। সবজির দাম একটুও কমেনি। প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হয় ৫০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হয় টমেটো। প্রতি কেজি শশা বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বরবটি, সজনে। প্রতি কেজি পটল বিক্রি হয় ৬০ টাকা। কুমড়া ৩০ টাকা। আলু ৬০ টাকা। ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হয় উচ্ছে ও ঢেড়স। যশোর বাজারে অপরিবর্তিত আছে আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মরিচের দাম। বাজারে চালের দাম আগের মত আছে। প্রতি কেজি স্বর্ণা চাল বিক্রি হয় ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা। ৫৬ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হয় বিআর-২৮ চাল, কাজললতা চাল বিক্রি হয় ৫০ থেকে ৫২ টাকা। ৪৮ টাকা থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হয় বিআর-৪৯ চাল, মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৬৮ টাকা। ৪৮ থেকে ৫২ টাকা বিক্রি হয় বিআর-১০ চাল। প্রতি কেজি বাংলা মতি চাল বিক্রি হয় ৬৮ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে ডালের দাম বাড়েনি। প্রতি কেজি দেশি মসুর ডাল বিক্রি হয় ১শত ৪০ টাকা। ১ শত টাকা কেজি বিক্রি হয় আমদানিকৃত মুসুর ডাল। প্রতি কেজি ছোলার ডাল বিক্রি হয় ৯০ টাকা। ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি বিক্রি হয় বুটের ডাল। মুগের ডাল বিক্রি হয় ১ শত টাকা থেকে ১ শত ৩০ টাকা। কলাইয়ের ডাল ১৪০ টাকা