পিরোজপুর প্রতিনিধি
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বিভিন্ন নদী ও খালে কচুরিপানা আটকে থাকায় নৌযান চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের। বিলাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার মানুষের একমাত্র চলাচলের ভরসা নৌপথ। কিন্তু নির্মম পরিহাস, মাথায় হাত রেখে বিধাতাকে দোষারোপ করা ছাড়া আর যেন কিছুই করার নেই বৈঠাকাটা-গাওখালী বাজার হয়ে মনোহরপুরসহ বিলাঞ্চলের মানুষগুলোর। কচুরিপানা এমনভাবে আটকে আছে, যার ভেতর দিয়ে নৌযান চলাচল একেবারেই অসম্ভব। তার প্রভাবও পরেছে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের উপর। সরেজমিনে দেখা গেছে, দেউলবাড়ী ইউনিয়নের বিলডুমরিয়া গ্রামের অধিকাংশ খাল কচুরিপানায় আটকে রয়েছে। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা মুফতী আব্দুল্লাহ গাজী জানান, আমরা কচুরিপানার কারণে অত্যন্ত দুর্ভোগ পোহাচ্ছি। এমনকি আমাদের এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমতো স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না। আমারদের যাতায়তের একমাত্র অবলম্বন নৌকা ও ট্রলার। আধুনিক সড়ক ব্যবস্থা দ্রুত উন্নত করা না হলে অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষাগত দিক দিয়ে চরমভাবে পিছিয়ে থাকতে হবে বিলাঞ্চলের হাজার হাজার পরিবারকে। সোনাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসাইন জানান, দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নটি দুর্গম নিম্নাঞ্চলে। বিশেষ করে এখানকার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম নৌকা। বছরের প্রায় সাত মাস কচুরিপানার কারণে শিক্ষার্থীরা সংকটে পড়ছে। এ কারণে বাল্যবিবাহ ও ঝরে পড়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এ ব্যাপারে ৩নং দেউলবাড়ী দোবড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সুখরঞ্জন বালা বলেন, আমরা কচুরিপানা রক্ষার জন্য প্রতিটি খালে লোহার রড দিয়ে বেড়া দিয়েছি। কিন্তু ট্রলার চলাচলের কারণে তা ছিঁড়ে গেলে কচুরিপানা ঢুকে পড়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়।
