রাজাপুরে সরকারি খাল দখল করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি
ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের খলিফা বাড়ি-সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের বহমান খাল দখল করে পাকা আবাসিক ভবন নির্মাণ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় করমুল্লা নদীর স্রোতধারা বড়মুল্লা নদীতে নামার এই ভারানী খালটি ঐ এলাকার সাধারণ মানুষের কৃষি পণ্য পরিবহণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অবৈধ দখল ও আবাসিক ভবন নির্মাণের কারণে এককালের স্রোতস্বিনী ঐ খালের পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ঐ এলাকার কৃষিজমিতে ধানের চাষ ব্যাহত হচ্ছে। এতে ওই এলাকার কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আবাসিক ভবন নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলতে সাহস পাচ্ছে না। এ অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে খালটিকে বাঁচানোর দাবি জানান স্থানীয়রা।
অভিযোগ রয়েছে, এ ব্যাপারে উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় ইতিপূর্বে আলোচনা করা হলেও অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ার কারণেই অন্যরাও দখলের সাহস পাচ্ছেন। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় খাল দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় প্রভাশালীদের বিরুদ্ধে। সরকারি খাল দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় খালে চলাচলকারী নৌযানগুলো বিপাকে পড়েছে ইতিমধ্যে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় আমির হোসেন ও তার পুত্র লুৎফার রহমান ফুরাত সরকারি বি,এস দাগ নং- ৩৮১৩, ৩৮৩২ রেকর্ডীয় খালের পশ্চিম প্রান্তের ২০০ মিটার দৈর্ঘ্য এলাকায় সম্পূর্ণ ভরাট করে ফেলেছে যাহা পশ্চিমে বহমান ৩৬৫৭ বি,এস দাগের রেকর্ডীয় খালের সাথে এই খালের সংযোগস্থল। অবৈধভাবে খালের ঐ অংশের অন্তত বিশ শতাংশ জমি দখল করে বাগান ও ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় আনোয়ার হোসেন গত ১২ জানুয়ারি একটি লিখিত অভিযোগ এসিল্যান্ড, রাজাপুর বরাবরে দাখিল করলেও কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান, জামাল হোসেন জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি খাল রক্ষা এবং খালে পানি প্রবাহের ব্যবস্থা করতে হবে। দখলদারদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে সরকারি সম্পত্তি দখলের প্রবণতা অনেকটাই কমে আসবে। তাই এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারজানা ববি মিতু জানান, বিষয়টি তদন্ত পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।