রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিল কুমারী বিলের ধারের জমিতে বোরো ধান লাগানো শুরু করেছে কৃষকরা। বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল পাড়ের কৃষকরা প্রতিবছরই বিলের জমিতে আগাম বোরো রোপণ শুরু করেন।
এবছরও প্রচন্ড শীত ও ঘনকুয়াশা উপেক্ষা করে বিল কুমারী বিলের জমিতে আগাম বোরো রোপণ শুরু করেছেন কৃষকরা। গত ১ সপ্তাহ আগে থেকেই কৃষকরা বিলের ধারের জমিতে বোরো রোপণ শুরু করেছেন।
কৃষকরা বলছেন, বন্যায় ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে বিল কুমারী বিলের জমিতে তারা আগাম বোরো রোপণ করেন। বিলের পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই কৃষকরা শুরু করেন বীজতলা তৈরির কাজ এবং তৈরি করতে শুরু করেন জমি। এবছরও বিলের পানি নেমে যাওয়ায় গত ১ মাস আগে থেকেই কৃষকরা বোরো বীজ তৈরি শুরু করেন এবং অনেক কৃষক গত ১ সপ্তাহ আগেই তাদের জমিতে বোরো রোপণ শুরু করেছেন। বর্তমানে বেশিরভাগ কৃষকের বোরো বীজ রোপনের উপযোগী হয়ে উঠায় জমি তৈরিতে ব্যস্ত কৃষকরা।
জেলার তানোর মোহনপুর উপজেলার সীমান্তের বিল কুমারী বিল পাড়ের গ্রাম কামারগাঁ, তালন্দ, গোকুল, চাপড়া, ধানতৈড়, গুবির পাড়া, কুঠিপাড়া, হলদার পাড়া, আমশো, বুরুজ, মেলান্দী, বেলনাসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন দেখা গেছে, বিলের পানি নেমে যাওয়া জমিগুলোতে কৃষকদের বোরো বীজ রোপণের উপযোগী হয়ে উঠেছে। ফলে, কিছু কিছু কৃষক তাদের জমিতে ১ সপ্তাহ আগে থেকেই বোরো রোপণ শুরু করেছেন এবং কয়েকজন কৃষক বর্তমানে বোরো রোপণ করছেন। অপরদিকে বেশিরভাগ কৃষকই বোরো বীজ রোপণের উপযোগী হয়ে উঠায় জমিতে সেচ দিয়ে চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ধানতৈড় গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুল আলিম বলেন, এবছর তিনি বিলের ধারের ২ বিঘা জমিতে বোরো করেছেন। কিন্তু প্রচন্ড শীতের কারণে ধানের শিকড় গজাতে একটু দেরি হলেও সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, বন্যার পানিতে ধান ডুবে যাওয়ার ভয়ে আগাম বোরো রোপণ করছেন।
আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই বিল পাড়ের জমিগুলো প্রায় বোরো রোপণ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। এ লক্ষ্য নিয়েই কৃষকরা পুরো দমে জমিতে সেচ ও চাষের কাজ করছেন।
তানোর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এবছর সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ বোরো চাষ হচ্ছে বিল কুমারী বিলের জমিতে। উপরের জমিতে অল্প সংখ্যক বোরো চাষ হলেও বেশিরভাগ জমিতে হয়েছে আলু চাষ।
