রংপুরে তাপমাত্রা কমছে ; বাড়ছে শীতবস্ত্র বেচা-কেনা

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুর জেলায় তাপমাত্রা কমার সাথে সাথেই বেড়েছে হিমেল হাওয়া আর ঘন কুয়াশা। রাত থেকে কুয়াশায় ঢাকা থাকছে প্রকৃতি। গত বুধবার রাতে বৃষ্টি হওয়ার পর থেকে শীতের প্রকোপ কিছুটা বাড়ায় গ্রাম-শহর সর্বত্রই ভিড় দেখা যাচ্ছে কাপড়ের দোকানগুলোতে। গত কয়েকদিন আগেও তাপমাত্রা ১৩ থেকে ১৪ ডিগ্রী থাকলেও বর্তমানে ১১ থেকে ১২ ডিগ্রী উঠানামা করছে। নগরীর সুরভি উদ্যানের সামনে, সিটি করপোরেশনের সামনে, স্টেশন বাজার পুরাতন কাপড়ের মার্কেট, শাহ মো. সালেক মার্কেট, শাহজামাল মার্কেট, ফুটপাতের মার্কেট, হনুমানতলা মার্কেটে সবচেয়ে বেশি গরম কাপড় বিক্রি হচ্ছে। এই কয়েকটি মার্কেটে ছোট-বড় প্রায় ৫শটি দোকান রয়েছে। এছাড়া সাতমাথা, মাহিগঞ্জ, চকবাজার, মর্ডান মোড়ে শীতের কাপড়ের অনেকগুলো মার্কেট রয়েছে। নগরীর ফুটপাতগুলোতে করোনার কারণে লোক সমাগম কম। গত বছরের চেয়ে এবারে পুরাতন কাপড়ের দাম অনেক বেশি বলে ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা অভিযোগ করেছেন। ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর পুরাতন কাপড়ের দাম মহাজনরা বেশি নিচ্ছেন। গতবছর শিশুদের যে কাপড় ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা এবার ৭০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দের যে কাপড় ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় কেনা গেছে, এবার তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায়। এছাড়া কম্বলের দামও বেড়েছে। প্রকারভেদে একটি কম্বল দেড়’শ টাকা থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। কোট, জ্যাকেট, সোয়েটার, ট্রাউজার, ওভারকোট, ফুল হাতা গেঞ্জি, কম্বল, মেয়েদের কার্টিগান, হাতমোজা ও পা মোজার ক্রেতার সংখ্যা বেশি। ফুটপাতের গরম কাপড় ব্যবসায়ী আমিন উদ্দিন জানান, কোনো কোনো গাইটের ভেতর ছেঁড়া-ফাটা কাপড় থাকে, যা মহাজনরা ফেরত নিতে চান না। এর ফলে লোকসান গুনতে হয়। তাই দাম কিছুটা বেশি। রংপুর আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত বৃহস্পতিবার রংপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। তাপমাত্রা আরো কমার শঙ্কা রয়েছে।