মুন্সীগঞ্জে সাবেক এমপি বিপ্লবকে প্রধান আসামী করে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাসহ ৫০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপার মার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া গত ৪ আগস্ট শহরের উত্তর ইসলামপুরের বাসিন্দা রিয়াজুল ফরাজীকে (৩৮) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৬ দিন পর মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে প্রধান আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় ৭ জনপ্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের নেতাসহ ২০৮ জনের নাম রয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ২০০/৩০০ জনকে।
গুলি করে হত্যার অভিযোগে গত সোমবার দিবাগত রাত একটার দিকে সদর থানায় মামলাটি দায়ের হয়। এতে বাদী হয়েছেন নিহত রিয়াজুল ফরাজীর স্ত্রী রুমা বেগম। মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আসলাম খান মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। অন্য একটি সূত্রমতে মামলার উল্লেখযোগ্য অন্য আসামিরা হলেন- মিরকাদিম পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিন, পঞ্চসার ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা, রামপাল ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চু শেখ, গজারিয়া উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মনসুর আহমেদ খান জিন্নাহ, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সোহেল, মহাকালি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ঢালী, মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন হোসেন পাটোয়ারি, শিলই ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ মৃধা, বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল কবির মাষ্টার, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুরুজ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান লাকুম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি নসিবুল ইসলাম নোবেল, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন সাগর, সরকারি হরগঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নিবির আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ফয়সাল মৃধা, শহর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রায়হানুজ্জামান রাসেল, আওয়ামী লীগ নেতা ইউছুফ ফকির, যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা ইজাদার দিল মোহাম্মদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সজল আহম্মেদ মিতালী। এছাড়াও আতাউর রহমান, ইমরান মেম্বারসহ এজাহারনামীয় সর্বমোট ২০৮ জন।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
ওইদিনের ঘটনায় ৩ জন নিহত ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়। এছাড়া অন্তত ৯৫ জন গুলিবিদ্ধসহ আহত হন দেড় শতাধিক। আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতরা হলেন- রিয়াজুল ফরাজী (৩৫), মোঃ সজল (৩০) ও ডিপজল (১৯)। নিহতদের মধ্যে রিয়াজুল মৃত কাজী মতিনের ছেলে, সজল আলী আকবরের ছেলে ও ডিপজল সিরাজ সরদারের ছেলে। এরা সকলেই শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা।