নিজস্ব প্রতিবেদক
আর কয়দিন পরেই কোরবানীর ঈদ। তাই পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে জমে উঠতে শুরু করেছে কোরবানির হাট। মুন্সীগঞ্জ উপজেলার মুন্সীরহাটসহ উপজেলার সবগুলো কোরবানীর পশুর হাট ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাক ডাকে মুখরিত। সদর উপজেলায় এবার ১টি স্থায়ী হাটের পাশাপাশি বসেছে অস্থায়ী পশুর হাটও। ইতিমধ্যে এসব হাটগুলোতে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খামারী ও ব্যাপারীরা বিক্রির উদ্দেশ্যে তাদের লালন পালন করা পশু নিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে আগেভাগেই পছন্দের পশু কিনতে হাটে ভীড় করছেন ক্রেতারা। এ বছর গো-খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় পশু লালন পালনে খরচ একটু বেশি হলেও পশুর উপযুক্ত মূল্য পেতে দুশ্চিন্তায় ভুগছে খামারীরা।
গতকাল শনিবার মুন্সীগঞ্জ সদরের মুন্সীরহাটে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জমে উঠেছে এই কোরবানির পশুর হাটটি। পছন্দের পশু কিনতে হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এ হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণ দেশীয় গরুর পাশাপশি ছাগলের মজুদ রয়েছে। ঈদের আরও ৪ দিন বাকি থাকলেও পশু বিক্রি হচ্ছে ভালোই। ক্রেতা-বিক্রেতা দর কষাকষির মধ্যে সময় পার করছে। হাটে উঠেছে ষাঁড়, দেশি ছাগল। হাটে আসা ক্রেতারা চাহিদা ও পছন্দ অনুযায়ী দরদাম করছেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দাম নিয়ে উভয়ই খুশি। সরেজমিনে আরো দেখা যায়, এবার কোরবানীর পশুর হাটে সবগুলো দেশীয় জাতের গরু। এদের মধ্যে রয়েছে ছোট-বড় ও মাঝারি সাইজের গরু, ছাগল। সকল বিক্রেতা বলছেন, আমার গরুকে কোন ধরনের ঔষধ খাওয়ানো হয়নি। বিক্রেতারা বলছেন, দাম ঠিক রেখেই বিক্রির চেষ্টা চলছে। তবে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই বলছেন, ঈদের দুই থেকে তিন দিন আগেই মূলত ভালভাবে বেচা-কেনা শুরু হবে। এবার কোরবানীর পশুর সরবরাহ বেশি থাকায় দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয়রা গরুকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে বাজারে তুললেও দূরের ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে প্রচুর গরু বাজারে তুলেছেন।
একজন ক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গরু পছন্দ হয়েছে। তাই ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনে ফেলেছি। গরুটি দেখতেও খুব সুন্দর। দামেও ভালো পেয়েছি। এই গরু কিনতে পেরে আমার ছেলেরাও খুশি।
এদিকে বাজারে খাসি বা ছাগল উঠেছে প্রচুর। দামেও খুশি ক্রেতা-বিক্রতারা। তেমনি একজন খাসি বিক্রেতা আঃ কাদির বলেন, বাজারে ৩৫টি খাসি এনেছি। ২০টি বিক্রি করেছি, আরো রয়েছে ১৫টি। বাজার খুব ভালো আছে।
