মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি :
অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছে না মাগুরার মহম্মদপুরের নহাটা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির মেধাবী ছাত্রী ফারজানা রহমান। ফারজানা উপজেলার নহাটা গ্রামের দিনমুজুর মিজানুর রহমান ও গৃহিনী লতিফা ইয়াসমিনের একমাত্র মেয়ে। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় ভুগছে ফারজানা। শাসনালীর সমস্যা, ফুসফুসের সমস্যাসহ গলা দিয়ে রঙ পড়ার মতো নানা জঠিল সমস্যায় দীর্ঘ চার থেকে পাঁচ বছর ধরে ভুগছে ফারজানা। তার দিনমুজুর পিতার সমার্থন অনুযায়ী বিভিন্ন ডাক্তার দেখিয়েছেন। এখন আর তার পক্ষে উন্নত চিকিদসা করানো সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন একটু সহযোগিতার। সকলের সহযোগিতায় আবারো সুস্থ্য জীবনে ফিরে যেতে পারে ফারজানা।
সুত্র আরো জানান, ফারজানার পিতা মিজানুর রহমান একজন কৃষক। নিজের সামান্য কৃষি জমিসহ অন্যের জমি চাষ করে কোনো রকম সংসারের হাল ধরে আসছেন। কৃষি কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন সময় নানা ধরনের কাজ করে অভাবী সংসারের চাহিদা মিটিয়ে ছেলে-মেয়েদের লেখা পড়া করানোর চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে মেয়ে ফারজানার সমস্যা দেখা দেয়। স্থানীয় পর্যায়ে অনেক চিকিৎসকের কাছে গেছেন এবং চিকিৎসা করিয়েছেন কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নী।
পরে নিজের শেষ সম্বল কৃষি জমিটুকু বিক্রি করে ঢাকার বক্ষব্যাধি শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলজি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, শ্রামলীর ২৫০ শষ্যা বিশিষ্টি টিবি হাসপাতাল, আনোয়ার খাঁন মডার্ন হাসপাতাল এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামীদামী চিকিৎসকের চিকিৎসা নেয়া হয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। কোনো পরিবর্তন হয়নী। এখন এসব চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দিনমুজুর পিতার পক্ষে ভারতে নেয়া অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মিজানুর রহমান বলেন, আমার যা কিছু ছিলো সবতো শেষ করে ফেলেছি, এখন ভারতে নেবো কি করে। কারো কাছে হাত পেতে চাইতেও পারছি না। আবার মেয়ের এই কষ্টও সহ্য করতে পারছি না। তাই সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে অনুরোধ। (অনুরোধে-০১৭২০-৬১১৫৫৭)।
নহাটার বিশিষ্ঠ সমাজসেবক ও ব্যাংকার মোঃ শাহাজাহান মিয়া জানান, ফারজানা নহাটা কলেজিয়েট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেনির একজন মেধাবী ছাত্রী। সে জঠিল রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে। তার দিনমুজুর পিতার পক্ষে তার এই চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্বব নয়। তাই আমার-আপনার মত কিছু হৃদয়বান ব্যক্তিদের সহযোগিতা পেলে সুস্থ্য জীবনে ফিরে এসেছে লেখা-পড়া শিখে দেশ ও দেশে মানুষের সেবা করতে চায় ফারজানা।