ফরিদপুর প্রতিনিধি : ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের ফরিদপুর সদর উপজেলার জোয়াইড় এলাকায় একটি যাত্রীবাহী লোকাল বাস উল্টে নারী ও শিশুসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, এ দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুইজন নারী, তিনজন পুরুষ ও একজন শিশু রয়েছে।
তিনি জানান, নিহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার জোয়ার সর্দার, ছেলে ইমান সর্দার ও দিপা, সদর উপজেলার চাঁদপুরের মালতী সরকার, ফজিরন নেছা, চরভদ্রাসন উপজেলার হাজীগঞ্জের আলম হোসেন এবং লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার জহির উদ্দিনের পুত্র আজিবর।
স্থানীয়রা জানায়, মুকসুদপুর থেকে ছেড়ে আসা একটি লোকাল বাস ফারিয়া পরিবহন নগরকান্দা হয়ে ফরিদপুরে যাওয়ার সময় ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের জোয়াইড় এলাকায় পৌঁছালে সড়কের পাশে থাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সজোরে আঘাত করে খাদের মধ্যে উল্টে যায়। এসময় একটি বৈদ্যুতিক পিলার প্রায় সাত থেকে আট ফিট বাসের ভেতরে ঢুকে যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয়রা এসে হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকা কয়েকজনকে উদ্ধার করেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ফরিদপুর হাইওয়ে পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মারুফ হোসেন জানান, গাড়িটি দ্রুত গতির ছিল। একই সাথে আরেকটি দ্রুত কোন যানকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা জানান, নিহতদের প্রত্যেককে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে দাফন কাফনের জন্য প্রাথমিকভাবে দেয়া হবে। পরে বিআরটিএ এর মাধ্যমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানান তিনি।