তানোরে অধ্যক্ষ খোকনের বিরুদ্ধে ১২টি অভিযোগ

তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরের কালীগঞ্জহাট ডিগ্রী কলেজের আলোচিত অধ্যক্ষ সফিউজ্জামান ওরফে খোকন বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যম প্রায় সোয়া কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
গত মঙ্গলবার তানোর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযোগের খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অধ্যক্ষ খোকনকে নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। অভিভাবক মহল সরেজমিনে তদন্তপূর্বক অভিযুক্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে অধ্যক্ষ খোকন দলীয় প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে কলেজের বিভিন্ন কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে- ভাইস প্রিন্সিপাল নিয়োগে ১৭ লাখ টাকা, কলেজে ৪ জন কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে ৪৮ লাখ টাকা ও শিক্ষকদের স্কেল পরিবর্তন বাবদ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বাণিজ্য করেছেন। এছাড়াও জেলা পরিশোধ থেকে অনুদানের ২০ লাখ টাকা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুদান ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ। এছাড়াও ৩ বছরের জন্য কলেজের বাগান লীজ দিয়ে ৩ লাখ টাকসহ মোট এক কোটি দশ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন অধ্যক্ষ সফিউজ্জামান খোকন।
এদিকে অভিযোগে আরো বলা হয়েছে, এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে কথা বলতে গেলে অধ্যক্ষ অকথ্য ভাষায় বাদিকে গালিগালাজসহ বিভিন্ন রকমের ভয়-ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। এসময় অধ্যক্ষ আরো বলেন, “তুই যদি এগুলো কথা কাওকে বলিস বা অভিযোগ করিস তাহলে তোকে গুম করে হাত, পা কেটে রাস্তায় ফেলে রাখবো। আমার দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে আমার যা মন চায় তাই করবো। তোর কিছু করার থাকলে করে নিস”। যে কারণে প্রাণের ভয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিগত দিনে কেউ কোনো প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সফিউজ্জামান খোকন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাকে হেনস্থা করতে তার বিরুদ্ধে এসব বানোয়াট অভিযোগ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।