ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ধান, গম ও ভুট্টার উন্নত বীজ উৎপাদন এবং উন্নয়ন কেন্দ্র বিএডিসি ঠাকুরগাঁওয়ে তিন বছর যাবৎ ও পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগে সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের যেন শেষ নেই। কর্তৃপক্ষ টেন্ডার নীতিমালা বহির্ভূতভাবে মনগড়া নিয়ম তৈরী করে পছন্দের লোককে কাজ দেয়ার পন্থা অবলম্বন করেলেও হচ্ছে না কোন সমাধান।
জানা যায়, বিএডিসি (বীউ) শিবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও দপ্তরে সংরক্ষিত গম, বোরো ও আমন বীজ ৬০টি রুটে পরিবহনের জন্য পরিবহন ঠিকাদার নিয়োগের নিমিত্ত প্রকল্প নীতিমালা অনুযায়ী ২০২৪-২৫ সালের জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর ১১৮নং স্মারকে উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ভূইয়া উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর দরপত্র খোলার পর জানা যায়, গত তিন বছর ধরেই আর.আর.বি ট্রেডার্স গাজীপুর প্রোপাইটার রাসেলকে টেন্ডারের ৬০টি রুটের গোপন রেট জানিয়ে দেন।
বিএডিসির তথ্য মতে, চলতি অর্থবছরে কোটি টাকার টেন্ডারের ২৬টি দরপত্র বিক্রি হলেও জমা পড়েছে মাত্র ৪টি।
স্থানীয় ঠিকাদার আবু সিদ্দিক তোতা ও মাহবুব আলম অভিযোগ করে বলেন, ২০২২ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত টেন্ডারের গোপন রেট আগেই প্রকাশ করে দেন শিবগঞ্জ অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের উপ-পরিচালক তাজুল ইসলাম ভূইয়া। তিনি আর.আর.বি ট্রেডার্স গাজীপুর প্রোপাইটার রাসেলকে বারবার গোপন তথ্য ফাঁস করে দেবার বিষয়ে ঢাকায় কৃষি মন্ত্রাণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের অর্থবছরে কেরিং ঠিকাদারী বাতিল করে দেয়। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ নিজ পরিবহন দিয়ে ঠিকাদারী চালান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেন্ডার কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন, খুব সুকৌশলে ঢাকাস্থ প্রকল্প অফিস এবং উপ-পরিচালকের দপ্তর হতে ৬০টি রুটের পরিবহন ব্যয়ের গোপন তথ্য ম্যানেজ করে দরপত্র দাখিল করায় টেন্ডার শর্তের সাথে হুবহু মিলে গেছে। যাতে করে টেন্ডার কমিটি আশ্চর্য বনে গেছেন। বিষয়টি প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সাথে মিলে গেলেও এক্ষেত্রে অপরাধী ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। সেই সাথে আরো জানা যায়, শিবগঞ্জ অধিক বীজ উৎপাদন কেন্দ্রের অনেক গোপনীয় কাগজপত্রও ফাস হয়ে যাচ্ছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে।
এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ বীজ উৎপাদন উপরিচালক তাজুল ইসলাম ভূইয়া অফিসের কম্পিউটার থেকে গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে থাকলে আমাদের কি করার আছে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
