ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের সত্যপীর ব্রিজ সংলগ্ন সরকারি “বক্ষব্যাধি ক্লিনিক” প্রাঙ্গণে সড়ক নির্মাণ কাজের বিভিন্ন মালামাল রাখায় যক্ষারোগী ও তাদের স্বজনেরা সমস্যায় পড়েছেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিপিসিএল নামক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মাঠ (প্রাঙ্গণ) জুড়ে ইট, খোয়া, বালুসহ অন্যান্য সামগ্রী স্তুপ অবস্থায় রেখেছেন। এই মালামাল উঠানামা আনা নেওয়া ইত্যাদি কাজের জন্য ট্রাক ও ট্রাক্টর আসা যাওয়া করছে। উড়ছে ধুলা বালি। বক্ষব্যাধি ক্লিনিকসহ গোটা এলাকা হয়ে পড়েছে ধূলিময়।
ক্লিনিকের কয়েকজন রোগী জানান, বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে যক্ষ্মা তথা শ্বাসকস্টের রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে এখানে আসেন। এসময় ইট, খোয়া, বালু থেকে সৃষ্ট ধুলোবালি রোগীদের নাকে-মুখে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। এছাড়াও আশ পাশের এলাকার শিশুরা ওই মাঠটিতে খেলাধুলা করে। কিন্তু কয়েকমাস থেকে মাঠটি নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে পুর্ণ থাকায় শিশুরা খেলাধুলা করতে পারছে না।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের রাস্তার কাজ করা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রগতি কনসালটেন্ট লিমিটেড (সিপিসিএল) এর কর্মকর্তা মোঃ সাব্বির হোসেন বলেন, সদর উপজেলা পরিষদের গেট থেকে বিআখড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার কাজ চলছে। মাঠে নির্মাণ সামগ্রীর মালামাল রাখতে লিখিত অনুমতি নেয়া হয়নি। তবে মৌখিক অনুমতি নিয়ে এখানে নির্মাণ সামগ্রী রেখেছি। রোগীদের যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য আমরা দিনে নামাজের সময় কাজ বন্ধ রাখি। রাতে কাজগুলো করে থাকি। ধূলাবালি যাতে না হয় আমরা সেদিকে নজর রাখছি।
এ বিষয়ে সরকারি এই বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. শুভেন্দু কুমার দেবনাথ বলেন, এখানে সড়ক নির্মাণ কাজের মালামাল রাখার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখছি। আমরা তাদেরকে বলেছি, আপনাদের কাজ শেষ হলে ক্লিনিকের ভিতরের রাস্তাটা ঠিক করে দিবেন আর মাঠের যেটুকু ক্ষতি হবে সেটাও ঠিক করে দিবেন।
এব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. নুর নেওয়াজ আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বক্ষব্যাধি ক্লিনিকের মাঠে নির্মাণ সামগ্রী রাখার জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ বা সংশ্লিষ্ট কোন কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি নেয়নি। তাদের সেখানে মালামাল রাখতে বাধা করা হলেও তারা শোনেনি। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
