মোঃ মুক্তাদির হোসেন : গাজীপুরের কালীগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সোলেমা বেগম ও স্বামী জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার নয় মামলার আসামী মোঃ কামাল হোসেন কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড চৈতারপাড়া গ্রামের মৃত ফাইজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ জামাল হোসেন ও তার স্ত্রী মূলগাঁও ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা কেয়া সুলতানা, সোলেমা বেগমের সাথে জমিসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ কামাল হোসেন ও তার পরিবারের সাথে শত্রুতা চলছে। শিক্ষিকা সোলেমার ভাই আকরাম হোসেন সেগুনবাগিচা এনএসআই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক। তারা জমিসংক্রান্ত দ্বন্দ্বে বিভিন্ন সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে কামাল হোসেনের নামে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলায় আসামী করেন।
তাছাড়াও সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন বিভিন্ন সময়ে কামাল হোসেন ও তার পরিবারকে বিভিন্নভাবে লাঞ্ছিত ও ক্ষতিগ্রস্থ করার পর কামাল কালীগঞ্জ থানায় তাদের বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ দিলেও অজ্ঞাত কারণে বিগত দিনে থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সোলেমা বেগম গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, শারীরিক লাঞ্ছিতসহ কামাল ও তার পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। এ বিষয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কামাল হোসেন কালীগঞ্জ থানায় ১৪০০নং জিডি করেন। তারই জের ধরে সোলেমা বেগম ও তার স্বামী জামাল হোসেন গত ১৫ আগস্ট রাতে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কামাল হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে। এ বিষয়ে কামাল হোসেন বাদী হয়ে গত ২৫ আগস্ট কালীগঞ্জ থানায় ৮(৮)২৪নং মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে সোলেমা বেগম ও জামাল হোসেন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে ভুুক্তভোগী মোঃ কামাল হোসেন বলেন, জামাল আমার ছোট ভাই। সোলেমা বেগম তার স্ত্রী। সোলেমার এক ভাই এনএসআই অফিসে চাকরি করেন। জামাল ও সোলেমা বেগম জমিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার সাথে শত্রুতা করে আসছে। তারা বিভিন্ন লোকজনকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে কালীগঞ্জ ও জয়দেবপুর থানায় নয়টি মামলা দিয়েছেন। ১৫ আগস্ট রাতে তারা আমাকে হত্যা করতে চেয়েছিল। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমি বেঁচে যাই। বর্তমানে আমি নিরুপায়। আমি তাদের বিরুদ্ধে গাজীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও পরিচালক (প্রশাসন), এনএসআই অফিসে লিখিত অভিযোগ করেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কেয়া সুলতানা সোলেমা বেগম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সত্য নয়। কামাল হোসেন ১০ বছর যাবৎ জোরপূর্বক আমাদের জমি দখল করে রেখেছে।
এনএসআই মোঃ আকরাম হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কামাল ও জামাল পরস্পর আপন ভাই। তাদের মধ্যে জমিসংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। তারা আমাকে হেয় করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে।
