কান্না ভেজা চোখে জাপানের ফুটবল থেকে বিদায় নিলেন ইনিয়েস্তা

ক্রীড়া ডেস্ক
মৌসুমে প্রথমবার শুরুর একাদশে ঠাঁই পেলেন আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। ভিসেল কোবের হয়ে যেটি তার শেষ ম্যাচ। লড়াই, প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ফলাফল সব ছাপিয়ে ম্যাচটি রূপ নিল তার বিদায়ী আয়োজনে। বিদায় বেলায় আবেগের প্রবল জোয়ারে তৃপ্ত কণ্ঠে তিনি বললেন, এই ক্লাবে তার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে।
গত মে মাসের শেষদিকে ইনিয়েস্তা জানিয়ে দেন, মৌসুমের মাঝপথেই বিদায় নেবেন ভিসেল কোবে থেকে। শেষ ম্যাচটি খেললেন তিনি শনিবার। প্রিয় তারকাকে বিদায় জানাতে কোবে মিসাকি পার্কের গ্যালারি এদিন ছিল টইটুম্বুর। চোটের কারণে এই মৌসুমে নিয়মিত মাঠেই থাকতে পারেননি তিনি। এই ম্যাচে তাকে শুরুর একাদশে রাখেন কোচ। ৫৭ মিনিট খেলে তিনি মাঠ ছাড়েন অশ্রুসজল চোখে। ম্যাচ শেষেও তার চোখে টলমল করতে থাকে জল। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী এই তারকা বলেন, এই ক্লাবে ৫ বছরের পথচলায় তার প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে।
“২০১৮ সালে আমি এখানে এসেছিলাম এই ক্লাবে বড় একটি ক্লাবে পরিণত করে তুলতে। আমার মনে হয়, তা আমি করতে পেরেছি। মাঠের ভেতরে ও বাইরে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। আশা করি, ক্লাবের জন্য আপনারাও ততটা গর্ব অনুভব করেন, যতটা করি আমি।”
নিজের পরবর্তী ঠিকানা নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করেননি ইনিয়েস্তা। তবে খেলা যে এখনই ছাড়ছেন না, আবারও তা জানিয়ে দিয়েছেন ৩৯ বছর বয়সী তারকা।
“গত কয়েকটি মাস আমার জন্য ও আমার ঘনিষ্ঠদের জন্য সময়টি ছিল খুব কঠিন। মাঠে থেকেই বিদায় নেওয়া ও ক্যারিয়ার শেষ করার ইচ্ছা আছে আমার। এই ক্লাব থেকে তা হলো না। তবে এই চাওয়াকে ভাবনায় রেখেই পরের পদক্ষেপ নিচ্ছি আমি।”
বার্সেলোনায় দেড় যুগের বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় ক্যারিয়ার শেষে ২০১৮ সালের মে মাসে ভিসেল কোবেতে যোগ দেন ইনিয়েস্তা। শুরুতে চুক্তি ছিল ৩ বছরের। ২০২১ সালে তা বাড়ানো হয় আরও ২ বছরের জন্য। গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া জে১ লিগের চলতি মৌসুম শেষ হবে আগামী ডিসেম্বরে। কিন্তু তিনি ক্লাব ছাড়লেন আগেই। চোটজর্জর এই মৌসুমে নিয়মিত খেলতে পারেননি, দলের কোচকেও এখন আর আগের মতো পাশে পাচ্ছেন না বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগে। খেলা চালিয়ে গেলেও অবশ্য ফুটবল থেকে তেমন কিছু আর পাওয়ার নেই ইনিয়েস্তার। স্পেনের হয়ে টানা দুটি ইউরো জিতেছেন, মাঝে জিতেছেন বিশ্বকাপ। সবকটিতেই তার বড় অবদান। বিশ্বকাপ ফাইনালে করেছেন জয়সূচক গোল। বার্সেলোনার হয়ে ৯টি লা লিগা, ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগসহ জিতেছেন মোট ৩০টি ট্রফি। অসংখ্য ব্যক্তিগত অর্জনেও রাঙিয়েছেন নিজের ক্যারিয়ার।