মোঃ নুরুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : গত বুধবার কাচ্চির বিএজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পিটি প্যারেডের সময় উপস্থিত হয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনসহ সকল শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে লেখাপড়ায় মনোযোগী হওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করেন। এ বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশ্নের জবাবে ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, প্রধান শিক্ষক অত্যন্ত ভালো মানুষ। স্যারের বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। একশ্রেণির মানুষ ছাত্র আন্দোলনের নামে আমাদের আন্দোলন করতে বলেছে। এজন্য আমরা কয়েকজন আন্দোলনে গিয়েছিলাম।
উল্লেখ্য যে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্তৃক একটি প্রতিনিধি দল উক্ত স্কুলে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে আসেন। অসুস্থতার কারণে প্রধান শিক্ষক সেদিন ছুটিতে ছিলেন। এ বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তদন্তের বিরুদ্ধে আমি নারাজি করেছি। অভিভাবকবিহীন কিছু লোকজনকে জড়ো করে একটি কুচক্রী মহল সাজানো একটি প্রতিবেদন তদন্ত টিমের কাছে তুলে ধরেন। অত্যন্ত চরাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠে নিম্নআয়ের মানুষের ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া করেন। তারপরেও শহরের নামি-দামি বিদ্যালয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পরীক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক বলে এই এলাকার সচেতন মানুষ জানান। বিগত ৮ বছর পূর্বে ক্ষমতাশীল আওয়ামী লীগের কিছু নেতার কারণে দীর্ঘদিন হয়রানি হয়েছেন প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। ফলে কিছুটা হলেও বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে। প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন শিবির ও জামায়াতের কর্র্মী হওয়ায় তাকে দীর্ঘ সময় হেনস্তা করেছেন বিগত স্বৈরাচার সরকারের নেতাকর্মীরা। গত ৫ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর ছাত্র সংগঠনের নামে বহিরাগত ছাত্র-ছাত্রী জোগাড় করে ঐ কুচক্রী মহলটি প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিনের অপসারণ দাবী করেন। এতে নেতৃত্ব দেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ ক্যাডার রাজু আহমেদ বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে চরাঞ্চলে অবস্থিত কাচ্চির বিএজি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে নিয়ে সুন্দর মানসম্মত লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে দেয়ার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছেন এই অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ।
