যশোর প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগর উপজেলার আওয়ামী লীগনেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন পলাশ (৪৫) হত্যাকান্ডের ঘটনায় ছয় জনের নামে মামলা হয়েছে। গত শনিবার রাতে নিহতের স্ত্রী শারমিন নাহার রত্না বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন। হত্যার সাথে জড়িত থাকায় স্থানীয় জনতার হাতে মারপিটের স্বীকার রইস উদ্দিনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, পলাশের স্ত্রী শারমিন নাহার বাদী হয়ে গত শনিবার রাতে ৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন। আসামীরা হলেন নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছিদ্দিক শিকদারের ছেলে রইস শিকদার(৩২), একই গ্রামের সরদারপাড়ার মৃত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তুহিন(৪২), আক্কাস মোল্যার ছেলে রফিকুল ইসলাম(৫০), একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার ছিদ্দিক শেখের ছেলে রবিউল ইসলাম ওরফে রবি(৪১), একই গ্রামের কালা চাঁদের ছেলে তরিকুল ইসলাম(২৪) ও সোহরাব হোসেনের ছেলে হান্নান(৫০)।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী শারমিন নাহার বলেন, পূর্বশত্রুতার কারণে এজাহারনামীয় ছয়জন আসামী পরিকল্পিতভাবে তার স্বামীকে অপহরণের পর পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এছাড়া হত্যাকারীরা অপহরণের পর মুক্তিপণ বাবদ নগদ ২০ হাজার টাকাও আদায় করে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। স্বামী হত্যার সঠিক বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য থানায় মামলা করেছি। হত্যাকান্ডের পর থেকে আমার দুই শিশু সন্তানসহ পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমাদুল করিম বলেন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন পলাশ হত্যার ঘটনায় নিহতের স্ত্রী শারমিন নাহার বাদী হয়ে ছয়জনের নামে মামলা করেছেন। প্রধান আসামি রইস শিকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামী গ্রেপ্তার করতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বেঙ্গল রেলগেট সংলগ্ন সাইদুর রহমান ঘাটের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে জিয়াউদ্দিন পলাশের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে আত্মীয় স্বজন ও এলাকাবাসী। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে রইস শিকদার (৩২) নামে স্থানীয় এক বিএনপি কর্মীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
নিহত পলাশ নওয়াপাড়া গ্রামে মডেল কলেজ সংলগ্ন বিশিষ্ট শ্রমিক নেতা মৃত ইব্রাহিম হোসেন সরদারের বড় ছেলে। তিনি যশোর জুট ইন্ডাষ্ট্রিজ লিঃ (জেজেআই) মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।