রাজশাহী প্রতিনিধি : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপি “শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা” করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত সোমবার বেলা ১১টায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় রাজশাহী জেলা শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকারের সভাপতিত্বে শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপি শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনিপর যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জাহান পান্না, জেলা বিএনপির সদস্য রোকনুজ্জামান আলম, গোলাম মোস্তফা মামুন, তোফায়েল রাজু, সুলতানুল ইসলাম তারেক, আল-আমিন সরকার টিটু, সফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, মাসুদুর রহমান স্বজন, সৈয়দা রুমানা হোসেন, জেলা যুুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম অরণ্য কুসুমসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড. সৈয়দ শাহিন শওকত জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে রাজশাহী জেলা বিএনপি শান্তি, শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগামী দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে বিএনপি বলিষ্ঠ ভূমিকা নিয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্য পেয়েছি বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী সরকার হাসিনার কর্মীরা যারা দেশের সম্পদ লুট করে কোটি টাকার মালিক হয়েছে তারা হয়তো নতুন করে দূর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নতুন করে সহিংস পরিকল্পিত বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাতে পারে। সেজন্য তারেক রহমানের নির্দেশে রাজশাহী বিভাগের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও পূজামন্ডপভিত্তিক কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের সাথে কথা বলে কাজ করছি। পুলিশও যদি চায় তাহলে সরাসরি এই কমিটি তাদের সহযোগিতা করবে। রাজশাহী মহানগরে ৭৭টি মন্ডপ ও জেলায় ৪১২টি মন্ডপ আছে। প্রত্যেকটি মন্ডপে প্রত্যেকটি অনুষ্ঠান যে চাঞ্চল্য আছে যাতে উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সেই লক্ষ্যে সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রত্যেক রাতে পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে এবং মনিটরিং টিম কাজ করবে। কোথাও কোন অসঙ্গতি বা আশঙ্কা দেখা দিলে সেটি সনাতন ধর্মাবলম্বী, পূজা কমিটি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতায় আমরা সবাই মিলে প্রতিরোধ করবো।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ শান্তির দেশ। হিন্দু-মুসলমান-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল সম্প্রদায়ের মানুষ একসাথে বসবাস করে আসছি। আমরা সকলকে নিয়ে সকল সংস্কৃতিকে ধারন করে সবাই মিলে থাকবো। কোন রাজনৈতিক দল নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করলে রুখে দাঁড়াবো। আমরা সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। এই উৎসব যাতে ভালোভাবে পালন করা হয় সেই সহযোগিতা করা হবে। কোথাও কোন সহিংসতার আশঙ্কার খবর পেলে তিনি সাংবাদিকদেরও সহযোগিতা কামনা করেন।
