জামালপুর প্রতিনিধি : গ্রামীণ অর্থনীতি ও কৃষকদের স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। এ প্রকল্পের আওতায় ব্যাপক শাকসবজির চাষসহ বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও শাকসবজির দাম আকাশচুম্বি। যা সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে নাভিশ্বাস শুরু হয়েছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সমৃদ্ধ এলাকা হলেও এ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে ব্যাপক শাকসবজির চাষ হয়ে থাকে। প্রতি মৌসুমের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। বাম্পার ফলন হলেও শাকসবজির দাম চলে গেছে মধ্যস্বত্ত্বভাগীদের দখলে। যার জন্যে শাকসবজির দাম আকাশ চুম্বি। সরেজমিনে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ার চরসহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় কৃষক রহমত, কাদের বলেন, মধ্যস্তত্তভোগীরা শাকসবজির বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের কারণেই শাকসবজির বাজার অস্থির। তারা জানান, পাইকারী বাজারে শাকসবজির দাম বেড়েছে। যার জন্যে শাকসবজি বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট চক্র ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
সিন্ডিকেট চক্রের কার্যক্রম মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। সিন্ডিকেটের কারণেই শাকসবজির দাম হু হু করে বেড়েই চলেছে। কোনভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রতি মৌসুমে জামালপুরের সর্বত্র শাকসবজির বাম্পার ফলন হয়। বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষি অর্থনীতি জাগ্রত হয়েছে। সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে একটি মহল। এই মহলের কারণেই নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি।
